যে কোনো পূজা করার আগে এই মন্ত্র গুলির বিশেষ প্রয়োজ। কারণ নিচে দেওয়া এই মন্ত্র গুলি হলো পঞ্চ দেবতার মন্ত্র। গনেশ , সূর্য , বিষ্ণু , শিব , দূর্গা , এনাদের একত্রে পঞ্চ দেবতা বলা হয়। যে কোনো পূজা করার আগে পঞ্চ প্রচারে পূজা করতে গেলে এই দেব দেবীর ধ্যান ও প্রণাম মন্ত্র অনিবার্য্।
এই বিশেষ পূজার আর এক নাম হলো পঞ্চায়তন পূজা , কথিত আছে যে অষ্টম শতাব্দীর হিন্দু পন্ডিত আদি সংকর এই পূজার আবিষ্কার করেন। স্মার্ত পারিবারিক নিয়ম অনুসারে , এই পাঁচ দেবতার একজন থাকেন কেন্দ্রে এবং বাকিরা তাকে ঘিরে তার চারি দিকে থাকেন। স্মার্ত মন্দির গুলির গর্ভ গৃহে এই পূজার বিশেষ আসন দেখা যায়।
এই মন্ত্র পাঠ করলে সমস্ত কষ্ট নিবারণ হয়। সমস্ত বিঘ্ন ও বাধা দূর হয়। এই মন্ত্র পাঠে কোনো পাপ স্পর্শ করতে পারে না। সকল কামনা পূর্ণ হয়। পড়াশুনো তে মনোযোগ হয়। ধন সমৃদ্ধি হয়। এই মন্ত্র সকলের বাসনা পূর্ণ করে।
(১) গণেশের ধ্যান, —
“ওঁ খৰ্ব্বং স্থূলতনুং গজেন্দ্রবদনং লম্বোদরং সুন্দরং প্রস্যন্দন্মদগন্ধলুব্ধ মধুপব্যালোল গণ্ডস্থলম্। দন্তাঘাতবিদারিতারিরুধিরৈঃ সিন্দুরশোভাকরং, বন্দে শৈলসুতাসুতং গণপতিং সিদ্ধিপ্রদং কামদম্ ॥
তারপর পঞ্চোপচারে পূজা করবেন, যথা—“এষ গন্ধঃ ওঁ গাং গণেশায় নমঃ, এতৎ পুষ্পম্ ওঁ গাং গণেশায় নমঃ, এষ ধূপঃ ওঁ গাং গণেশায় নমঃ, এষ দীপঃ ওঁ গাং গণেশায় নমঃ, এতন্নৈবেদ্যম্ ওঁ গাং গণেশায় নমঃ। এই মন্ত্রে পূজার পর প্রণাম করবেন,যথা
প্রণাম মন্ত্র—“ওঁ একদন্তং মহাকায়ং লম্বোদরং গজাননম্। বিঘ্ননাশকরং দেবং হেরম্বং প্রণমাম্যহম্ ॥
এবার সূর্য্যের পূজা করুন। সূর্যের ধ্যান, যথা
(২) সূর্য্যের ধ্যান —
“ওঁ রক্তাম্বুজাসনমশেষগুণৈকসিন্ধুং, ভানুং সমস্তজগতামধিপং ভজামি। পদ্মদ্বয়া ভয়বরান দধতং করাজৈমাণিক্যমৌলিমরুণাঙ্গরুচিং ত্রিনেত্রম্॥”
ধ্যান করে আবাহন করুন। পরে ‘এষ গন্ধ ওঁ শ্রীসূৰ্য্যায় নমঃ' এইভাবে পঞ্চোপচারে পূজা করে প্রণাম করুন
প্রণাম মন্ত্র—“ওঁ জবাকুসুমসঙ্কাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম্। ধ্বান্তারিং সর্ব্বপাপঘ্নং প্রণতোহস্মি দিবাকরম্॥”
এবার বিষ্ণুর পূজা করুন। বিষ্ণুর ধ্যান, যথা
(৩) বিষ্ণুর ধ্যান —
“ওঁ ধ্যেয় সদা সবিতৃমণ্ডলমধ্যবর্ত্তী নারায়ণঃ সরসিজাসনসন্নিবিষ্টঃ। কেয়ূরবান্ কনককুণ্ডলবান্ কিরীটিহারী হিরন্ময়বপুর্বৃতশঙ্খচক্রঃ॥”
ধ্যানের পর আবাহন এবং তারপরে “এষ গন্ধঃ ওঁ শ্রীবিষ্ণবে নমঃ” মন্ত্রে পঞ্চোপচারে পূজা করে
প্রণাম মন্ত্র—“ওঁ নমো ব্রহ্মণ্যদেবায় গোব্রাহ্মণ হিতায় চ। জগদ্ধিতায় কৃষ্ণায় গোবিন্দায় নমো নমঃ।”
মন্ত্রে প্রণাম করুন। এরপরে শিবপূজা করুন। শিবের ধ্যান, যথা
(৪) শিবের ধ্যান —
“ওঁ ধ্যায়েন্নিত্যং মহেশং রজতগিরিনিভং চারুচন্দ্রাবতংসং। রত্নাকল্পোজ্জ্বলাঙ্গং পরশুমৃগবরাভীতিহস্তং প্রসন্নম্॥ পদ্মাসীনং সমন্তাৎ স্তুতমমরগণৈ র্ব্যাঘ্রকৃত্তিং বসানং। বিশ্বাদ্যং বিশ্ববীজং নিখিলভয়হরংপঞ্চবক্তং ত্রিনেত্রম্॥”
এবার আবাহন এবং তারপরে “এষ গন্ধঃ ওঁ শিবায় নমঃ” মন্ত্রে পঞ্চোপচারে পূজা করে প্রণাম করবেন
প্রণাম মন্ত্র— “ওঁ নমঃ শিবায় শান্তায় কারণত্রয় হেতবে। নিবেদয়ামি চাত্মানং ত্বং গতি পরমেশ্বরঃ॥”
এরপর দুর্গাপূজা, দুর্গার ধ্যান, যথা
(৫) দুর্গার ধ্যান —
“ওঁ কালাভ্রাভাং কটাক্ষৈররিকুলভয়দাং মৌলিবদ্ধেন্দুরেখাং, শঙ্খং চক্রং কৃপাণং ত্ৰিশিখমপিকরৈরুদ্বহত্তীং ত্রিনেত্রাম্। সিংহস্কন্ধাধিরূঢ়াং ত্রিভুবনমখিলং তেজসা পুরয়ন্তীং, ধ্যায়েদুর্গাং জয়াখ্যাং ত্রিদশপরিবৃতাং সেবিতাং সিদ্ধিকামৈঃ॥”
এই মন্ত্রে ধ্যান ও আবাহন করে “এষ গন্ধঃ হ্রীং ওঁ দুর্গায়ৈ নমঃ” প্রভৃতি মন্ত্রে পঞ্চোপচারে পূজা করে প্রণাম করবেন। মন্ত্র, যথা
প্রণাম মন্ত্র—“ওঁ সৰ্ব্বমঙ্গল মঙ্গল্যে শিবে সর্ব্বার্থ সাধিকে। শরণ্যে ত্র্যম্বকে গৌরী নারায়ণী নমোঽস্তুতে॥”
Please do not enter any spam link in the comment box.